ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ফজলুল হক মুসলিম হলে চোর সন্দেহে তোফাজ্জল নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় শাহবাগ থানায় মামলার আবেদন করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শাহবাগ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ খালিদ মনসুর।
বিশ্ববিদ্যালয়ের এস্টেট অফিসের সুপারভাইজার মোহাম্মদ আমানুল্লাহ এ মামলা দায়ের করেন। মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ফজলুল হক মুসলিম হলের গেটে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাঘুরি করলে মোবাইল চোর সন্দেহে কিছু ছাত্র তাঁকে বেধড়ক মারধর করেন। তাঁর নাম তোফাজ্জল।
এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়, সে মানসিক রোগী বুঝতে পেরে তাঁকে ফজলুল হক মুসলিম হলের ক্যানটিনে নিয়ে খাবার খাওয়ানোর পর হলের দক্ষিণ ভবনে গেস্ট রুমে জানালার পেছনে হাত বেঁধে স্ট্যাম্প, হকিস্টিক ও লাঠি দিয়ে উচ্ছৃঙ্খল কিছু ছাত্র বেধড়ক মারধর করলে তিনি অচেতন হয়ে যান। কয়েকজন শিক্ষার্থী আবাসিক শিক্ষককে বিষয়টি অবহিত করলে তাঁদের সহায়তায় অচেতন যুবককে ঢাকা মেডিকেলে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে ওসি মোহাম্মদ খালিদ মনসুর বলেন, ‘মামলার এজাহার পেয়েছি, মামলা গ্রহণ করার প্রস্তুতি চলছে। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সার্বিক সহযোগিতা করছে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাইফুদ্দীন আহমেদ বলেন, ‘ফজলুল হক মুসলিম হলে প্রভোস্টের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলে সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহের কথা বলেছি। কারা দোষী, তা শনাক্ত করা হবে। তদন্ত করে দোষীদের ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি।’
উল্লেখ্য, এ বিষয়ে সাত সদস্যের তদন্ত কমিটিও গঠন করেছে হল প্রশাসন। হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. শাহ্ মো. মাসুম এ কমিটি ঘোষণা করেন। একই সঙ্গে প্রত্যক্ষদর্শীদের তদন্ত কমিটিকে সহায়তা এবং আজ সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে তদন্ত শেষ করে রিপোর্ট দিতেও বলেন শাহ মাসুম