মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৫, ০১:৪৫ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম
রেজাউল করিম কে ডিবি প্রধান কে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি জাকির খান কারামুক্ত  রূপগঞ্জের দুই সাব-রেজিস্ট্রারের বিদায় সংবর্ধনা বিএনপি মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য কাজ করে : মামুন মাহমুদ রূপগঞ্জ পূর্বাচল উপশহরে যুবকের মরদেহ উদ্ধার সিদ্ধিরগঞ্জে চোরাই তেলসহ বিএনপি ও কৃষকদল নেতাকে আটক করে ছেড়ে দিল পুলিশ রূপগঞ্জের পূর্বাচল রাজস্ব সার্কেলের বিতর্কিত এসিল্যান্ডের বদলি ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদে রূপগঞ্জে বিক্ষোভ সমাবেশ তিতাসের সাময়িক বরখাস্ত কর্মকর্তা হারুন শেখ ও তার ছেলে এবং শ্যালকের বিরুদ্ধে হামলা ও বাড়িঘর ভাঙচুরের অভিযোগ সিদ্ধিরগঞ্জে সাংবাদিকের মটরসাইকেল  চুরি, ৭ দিনেও উদ্ধার না হওয়ায় ক্ষোভ 

সিদ্ধিরগঞ্জে চোরাই তেলসহ বিএনপি ও কৃষকদল নেতাকে আটক করে ছেড়ে দিল পুলিশ

 সিদ্ধিরগঞ্জে ২০ ড্রাম চোরাই সয়াবিন তেল জব্দ ও কৃষকদলের সাবেক ২ নেতাসহ ৪ জনকে আটক করে পুলিশের উপ-পরিদর্শক সানোয়ার। বুধবার (৯ এপ্রিল) দিবাগত রাত ১২ টার দিকে আটি ওয়াপদা কলোনি কাঁচপুর ল্যাণ্ডিং স্টেশন সংলগ্ন শীতলক্ষ্যা নদীর পাড় থেকে তাদের আটক করা হয়।
পরে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে রাত ২টার দিকে তাদের ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। পরে স্থানীয়দের তোপের মুখে ৭ ড্রাম জব্দ ও ১ জন কে আটক  দেখান তিনি।
জানা গেছে, আটি ছাপাখানা এলাকার নূরা মিয়ার ছেলে সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন ৪নং ওয়ার্ড বিএনপির সহ সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান সেন্টু, তার ভাই বাদশা মিয়া, ইদা মিয়ার ছেলে থানা কৃষকদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক জাকির ও আটি ফকিরবাড়ী এলাকার দাইমুদ্দিন গাজীর ছেলে মামুন গাজী ট্রলার দিয়ে শীতলক্ষ্যা নদী দিয়ে ২০ ড্রাম চোরাই সয়াবিন তেল আনে ওয়াপদা কলোনি ল্যাণ্ডিং স্টেশন এলাকায়।
ট্রলার থেকে ড্রাম নামানোর সময় ৪নং ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক  হারুন দেখতে পেয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আব্দুল কাদির জিলানি (হীরা) কে জানান।
সাবেক ছাত্রদল নেতা হীরা বলেন, বিষয়টি জানার পর আমি থানায় ডিউটি অফিসারকে ফোন করি। তার কথা মত টহলরত থানার উপ-পরিদর্শক সানোয়ারকে ফোনে জানাই। পুলিশ আসার পর আমিও ছুটে এসে দেখি ৭টি ড্রাম জব্দ করা হয়েছে, কাউকে আটক করা হয়নি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় একজন বাসিন্দা জানান, পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে তেলের ড্রাম জব্দ ও সেণ্টু, জাকির, বাদশা মিয়া ও মামুন গাজীকে আটক করে। পরে তাদের মধ্যে চলে দেনদরবার।
একপর্যায়ে আটক ৪ জনকে পুলিশ ছেড়ে দেয়। ছাড়া পাওয়ার পর তারা তেলের ড্রাম সরাতে থাকে। এসময় ছাত্রদলের কয়েকজন নেতা ও গণমাধ্যমকর্মীরা চলে আসেন, এতে ৭ টি ড্রাম সরাতে পারেনি।
ছাত্রদল নেতাকর্মীদের অভিযোগ, রাত ১২ টার দিকে তাদের আটক করে অর্থের বিনিময়ে ২টার দিকে তেলসহ চোরদের ছেড়ে দেয় পুলিশ। এসময় আমরা ঘটনাস্থল গিয়ে এসআই সানোয়ারকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, পরিত্যক্ত অবস্থায় ৭টি তেলের ড্রাম জব্দ করা হয়েছে।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত নারায়ণগঞ্জ তোলারাম কলেজ ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ন সম্পাদক সানি আলম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমি এসে চোরাই তেলের সঙ্গে জড়িত ৫-৬ জনকে দেখেছি। পুলিশের সামনে তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ড হয়েছে। তারা তেলের ড্রাম নিয়ে গেছে আর পুলিশ দর্শকের মত দেখছে।
আসল চোরদের ছেড়ে দিয়ে ১ জন কে আটক করা চরম বৈষম্য করা হয়েছে।  অন্যরা ছাড়া পাবে ১ জন শাস্তি পাবে এটা হতে পারেনা।
আটককৃত মামুন গাজী বলেন, তেল কারা কোথায় থেকে এনেছে আমি জানিনা। আমাকে তেলের ড্রাম গুলো রিসিভ করার কথা বলা হয়েছিল। কে বলেছিল জানতে চাইলে তিনি জড়িতদের নাম না বলে শিমরাইল এলাকার দেলু নামে একজনের নাম বলেন। কে এই দেলু জানতে চাইলে তিনি তাকে চিনেননা বলে জানান।
 সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক সানোয়ার অর্থ লেনদেনের অভিযোগ অস্বীকার করে প্রথমে কাউকে আটক করা হয়নি দাবি করেন। পরে ১জনকে আটক করার কথা স্বীকার করে।
আটক ১জন কোথায় জানতে চাইলে তিনি উত্তেজিত হয়ে বলেন, এভাবে আমাকে প্রশ্ন করতে পারেন না। পরে প্রায় আধা ঘন্টা পর মামুন গাজীকে আটক দেখিয়ে পুলিশের গাড়িতে উঠানো হয়।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার  অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ শাহিনূর আলম বলেন, ৭ ড্রাম তেলসহ ১ জনকে আটক করা হয়েছে। তার বেশি কিছু আমার জানা নেই। যদি অর্থ লেনদেনের মাধ্যমে কিছু আড়াল করা হয়ে থাকে  তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন :

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত