dainik rswadesh
- ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ / ১৩৭ বার পঠিত

‘পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ি ও রাঙ্গামাটিতে দুষ্কৃতিকারীদের দ্বারা সংঘটিত ব্যাপক সংঘর্ষে হতাহত এবং দোকানপাট ও বাড়িঘরে হামলা ভাঙচুরসহ অগ্নিসংযোগের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে পাহাড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠায় সশস্ত্র বাহিনীর সমন্বিত উদ্যোগ অব্যাহত রাখার আহŸান জানিয়েছে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ।
তারা ‘পাহাড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠায় সব রাজনৈতিক বিভেদ ভুলে দেশের অখন্ডতা, নিরাপত্তা, স্থিতিশীলতা ও শান্তি রক্ষায় প্রয়োজন রাজনৈতিক ঐক্য ও সিদ্ধান্ত গ্রহনের আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘জঙ্গিরা, বিপথগামী তরুণরা সেখানে সশস্ত্র প্রশিক্ষণ নিচ্ছে। এই কুকি-চিন কাদের সৃষ্টি, কী তাদের প্রয়োজন- যারা পাহাড়ে নতুন করে অশান্তি সৃস্টি করছে। এ সব সমস্যা সমাধানে সরকারকে কঠোর ও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।’
রবিবার (২২ সেপ্টেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া এসব কথা বলেন।
তারা বলেন, ‘যখনই পাহাড়ের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন গুলো আর্থিক, অস্ত্র সংকটে পড়ে তখন তারা নিজেরা অভ্যন্তরীণ কোন্দলে, জড়িয়ে পড়ে। আর তখনই চাাঁদাবাজি, লুঠতরাজ ও সহিংসতায় লিপ্ত হয় এবং তখন তাদের শক্তি, সার্মথ্য, সক্ষমতা জানান দিতে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। বিগত দিনের ঘটনা সমূহ পর্যালোচনায় এমনটি প্রমাণিত হয়। যদি তাই না হয় তাহলে শান্তি আলোচনার আড়ালে কেন অশান্তি সৃষ্টি হবে ? এসব বিষয়ের রহস্য উদঘাটন করতে হবে।’
নেতৃদ্বয় আরো বলেন, ‘কেএনএফকে কারা অস্ত্র সরবরাহ, অর্থ, বৈদেশিক সাহায্য দিচ্ছে। কাজেই কেএনএফকে অস্ত্র, অর্থ ও জনসমর্থন থেকে বিচ্ছিন্ন করতে হবে। একই সঙ্গে রাজনৈতিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনা করা প্রয়োজন। এটি করা না গেলে পাহাড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠায় অপূর্ণতা থেকে যাবে। তাই নিরাপত্তা ও শান্তির জন্য শান্তি আলোচনা ভেস্তে গেলেও সরকারের উচিত সংলাপের জন্য পথ উম্মুক্ত রাখা। একই সঙ্গে ওই অঞ্চলের মানুষের মৌলিক চাহিদা, শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং অর্থনৈতিক ও অবকাঠামোগত উন্নয়ন কর্মসূচির যথাযথ বাস্তবায়ন।’
তারা বলেন, ‘পূর্বের মতো পাহাড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠা, উন্নয়ন কর্মকান্ড অব্যাহত রাখার স্বার্থে সেনাবাহিনীকে দায়িত্ব দেয়া প্রয়োজন। পাশাপাশি বিজিবি, র্যাব, পুলিশ তাদের নিয়মিত টহল, তল্লাশিতে নিয়োজিত করা দরকার। এ ক্ষেত্রে লক্ষ্য রাখতে হবে, যে উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে গিয়ে সাধারণ মানুষের যেন ক্ষতি না হয়। উন্নয়ন কর্মকান্ডে স্থানীয়দের সম্পৃক্ত করা প্রয়োজন। আমাদের মনে রাখা প্রয়োজন পাহাড়ে বসবারত ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর জীবন-জীবিকা ও সংস্কৃতি পাহাড়, বন, নদীনির্ভর। তাদের জীবন-জীবিকা, সংস্কৃতি, অধিকার সমুন্নত থাকলে কেএনএফের মতো কোনো স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী অপতৎপরতা চালাতে সাহস করবে না। প্রত্যাশা পাহাড়ে শান্তি আসবে সরকারের সম্মিলিত প্রচেষ্ঠায়।’
নেতৃদ্বয় ‘অনতিবিলম্বে পার্বত্য জেলাসমূহে সকল ধরনের সহিংসতা বন্ধ করে জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জরুরি ভিত্তিতে কার্যকরি পদক্ষেপ নিতে সরকারের প্রতি আহবান জানিয়েছেন। একইসাথে তিনি সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারসমূহের পুনর্বাসনেরও দাবি জানান।’