রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:১০ অপরাহ্ন

সিদ্ধিরগঞ্জে শিমরাইল মোড়ে মাইক্রো স্ট্যান্ড বানিয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগ 

 

সিদ্ধিরগঞ্জ ইপিজেডে তৈরী পণ্যসামগ্রী পুরো দেশেই বহন করার ব্যস্ততম সড়ক আদমজী রোড। নারায়ণগঞ্জ মহাসড়কের চিটাগাংরোড মাইক্রো স্ট্যান্ডের সড়কের পাশে দীর্ঘদিন ধরে গড়ে উঠেছে চিটাগাংরোড মাইক্রোবাস স্ট্যান্ড।

সড়ক দখল করে অবৈধ স্ট্যান্ডে জনজীবনে দুর্ভোগ সৃষ্টি হচ্ছে। প্রায় দুইশত প্রাইভেট কার ও মাইক্রোবাস রাস্তার মধ্যেই পার্কিং করে রাখা হয়। পথচারীরা চলাচল করতে পারছে না, কারন রাস্তা ও ফুটপাত দখল করেই চলে এই পার্কিং বাণিজ্য।

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায় , রাস্তা ও ফুটপাত দখল করে  প্রাইভেট কার ও মাইক্রো বাস পার্কিং করে রাখা হয়েছে।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন গাড়ি চালক বলেন, আমরা জিম্মি হয়ে আছি। এখানে গাড়ি ভর্তিতে ও গাড়ি রাখতে প্রথমে ছয় হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা দায়িত্বে থাকা দেলোয়ার ও অহিদকে দিতে হয়। এরপর গাড়ি পার্কিং এর জন্য মাসিক প্রাইভেট ও নোহা পাঁচশত টাকা ও হাইয়েস সাতশত টাকা দিতে হয়। সেই হিসেবে অবৈধ এই পার্কিং হতে মাসে প্রায় দেড় লাখ টাকার চাঁদাবাজি হচ্ছে।

দায়িত্বে থাকা দেলোয়ার ও অহিদ বলেন, প্রতিটা গাড়ি ভর্তির জন্য ৫ হাজার থেকে ৬০০০ টাকা নিচ্ছি । এখান থেকে  প্রশাসনের কর্মকর্তাদের অনেককেই মাসিক মাসোহারা দিতে হয়।

দায়িত্বে থাকা লোকজন চাঁদাবাজির বৈধতার জন্য দলীয় নেতৃবৃন্দের কাছে ঘুরে বেড়াচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকার আমলে যারা বিভিন্ন নেতার আত্মীয় পরিচয় দিয়ে এই স্ট্যান্ডের নিয়ন্ত্রণে ছিল তারা খোলস পাল্টে বিএনপির নেতাদের কাছে ঘুর ঘুর করতে দেখা যায়।

বিশাল অংকের চাঁদা তুলে কয়েকজন পরিবহণ নেতা আঙুল ফুলে কলাগাছ হয়ে গেছে। গাড়ির চালক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হয়ে অনেকে গাড়ি বাড়ি ও ফ্ল্যাটের মালিক বনে গেছেন বলে জানা গেছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেক গাড়ির মালিক বলেন, দেলোয়ার ও অহিদ রেন্টকার কমিটি নিয়ে বিভিন্ন বিএনপি নেতাকর্মীর দ্বারে দ্বারে ঘুরতেছে। এমনকি বিএনপির বিভিন্ন প্রোগ্রামে তাদের উপস্থিতি দেখা যায়।

এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আল মামুন বলেন, চাঁদাবাজির বিষয়ে কোন অভিযোগ পায়নি। কোন চালক অথবা গাড়ির মালিক অভিযোগ করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন :

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত